সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানার সন্ধানের পর অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছে চট্রগ্রাম পুলিশ-প্রসাশন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে একের পর এক অভিযানে সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় জঙ্গিরা নতুন সদস্য দলে টানতে পারছে না। তাই পরিবারের লোকজনদের নিয়েই পারিবারিকভিত্তিক কার্যক্রম চালানো শুরু করেছে তারা।
আবার জঙ্গিরা আস্তানা গড়ে তুলতে নিজেরা এখন বাসা ভাড়া নিতে পারছেন না। তাই বাসা ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করছে পরিবারের নারী সদস্যদের।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানান, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানার সন্ধানের পর এ অঞ্চলে আর কোনো দল সক্রিয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সীতাকুণ্ডে অভিযানে জঙ্গিদের পুরো একটি দলকে শনাক্ত করা গেছে।
তবে বাসা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকদের আরো সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদের নামারবাজারে ‘সাধনকুটির’ নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর গায়ে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ছিল। সাধনকুটির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রেমতলা চৌধুরীপাড়া এলাকার ‘ছায়ানীড়’ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়।
জেএইচ