কিশোররা এখন খেলাধুলা, দুষ্টুমি বা ঘর পালানোর মতো অপরাধ ছেড়ে চুরি-ছিনতাই, খুন-ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ৬ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় কিশোরদের দু’দলের বিরোধের জেরে খুন হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবীর।
ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ‘কে বড়, কে ছোট’ তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তেজগাঁওয়ের তেজকুনী পাড়ায় খুন হয় আবদুল আজিজ নামে আরেক কিশোর।
এছাড়া গেলো বছরের ১৪ মে, রাজধানীর ভাষানটেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ।
বছর চারেক আগে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ও মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ঐশীর ঘটনা সবার জানা।
এ বিষয়ে গাজীপুরের টঙ্গী ও যশোরের পুলেরহাটের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের গেলো বছরের ডিসেম্বরের তথ্য থেকে জানা যায়, ওই দিন কেন্দ্র দুটিতে ছিল ৫৯৭ জন কিশোর। এদের মধ্যে ১২০ জনই হত্যা মামলার আসামি। ১৪২ জন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায়, ৯ জন তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি।
এর বাইরে চুরির মামলায় ৮৯ জন, ডাকাতি মামলায় ১৬, ছিনতাইয়ে ৬, মাদকে ৬৬, অস্ত্র মামলায় ২০ ও বিস্ফোরক মামলায় আটক, পাঁচজন। অন্যরা, সাধারণ ডায়েরিসহ ছোটখাটো মামলার আসামি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল ইউ.এ. চৌধুরী জানান, পরিবারের নিয়ন্ত্রণহীনতা ও অপসংস্কৃতিই এজন্য দায়ী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান বলেন, সন্তান যেনো একাকীবোধ না করে, সেজন্য পরিবারের সদস্যের সঙ্গে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক খুবই জরুরি বলে মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী।
আরকে/এসএস