জঙ্গিবাদ ও মাদকের কবল থেকে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে গণভবনে কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বর্ণ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে ভালো ফলের জন্য ২৩৪ শিক্ষার্থীকে স্বর্ণ পদক পান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে এ পদক দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদক এখন বিশ্বে সবচে’ বড় সমস্যা। এর থেকে সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে অভিভাবকদের প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। সন্তান কখন কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। যেনো কোনো কিছু পরিবারে বাবা-মা থেকে গোপন না করে।
তিনি বলেন, শুধু অভিভাবক নয়, শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে না জড়ায় সে জন্য পরিবারের সঙ্গে শিক্ষকদেরও সজাগ থাকতে হবে। খুব অবাক লাগে যখন দেখি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। দেশের অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ তবে ধর্মান্ধ না। আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম কোনো মানুষকে হত্যার অনুমতি দেয়নি। এখন দেখি অনেকে আত্মঘাতী হচ্ছে। যেটি কোনো ভাবে কাম্য নয়। যেখানে ইসলাম আত্মহত্যাই হারাম ঘোষণা করেছে।
গেলো জোট সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে দেশের শিক্ষার মান ধ্বংস করেছে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমের পরিবর্তে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে অস্ত্রের করখানায় পরিণত করেছে। তাদের ছাত্র সংগঠন জমি দখলের মত হল দখল করেছে। অনেক নিরীহ শিক্ষার্থীকে খুন করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশেরে শিক্ষার মান অনেক উন্নত। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। কারণ বিশ্বায়নের এ যুগে পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষিত জাতি ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগীতা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশের কোনো মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। তার সেই স্বপ্ন পূরণে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে ১ কোটি ৩০ লাখ মাকে প্রাথমিক স্তরেই উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছ। এর সুফল এখন দেশের মানুষ পাচ্ছে।
এইচটি/এসএস