অ্যাস্ট্রাজেনিকা-অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সিডিএসসিও এ অনুমোদন দেয়। এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনেই সুখবর পেলো ভারতের জনগণ। খবর হিন্দুস্থান টাইমস।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ‘কোভিশিল্ড’নামে এই টিকাটি তৈরি করছে। এর আগে গত বুধবার ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনিকা-অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে সেই টিকা তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। ভারতে যে টিকার উৎপাদন করছে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। নিম্ন ও মধ্য আয়বিশিষ্ট দেশের জন্য ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ তৈরি করার চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থাটি। এদিকে ফাইজারের তৈরি টিকা ভারতে বাজারজাত করতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে সংস্থাটি।
করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ‘ড্রাই রান’শনিবার (২ জানুয়ারি) থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে। দিল্লিতে শুরু হওয়া ড্রাইরানের উপর নজর রাখবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
করোনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বিপর্যস্ত দেশ ভারতে এক কোটি দুই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে প্রায় দেড় লাখ। টিকাদানের জন্য এরই মধ্যে পাঁচ কোটি ডোজ মজুদ করেছে স্থানীয় নির্মাতা সিরাম ইন্সটিটিউট। শনিবার থেকেই রাজ্যগুলোতে পাঠানো শুরু হবে ভ্যাকসিন।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশের মানুষও পাবে। ইতোমধ্যে দুটি দেশের বাজারে একই সময়ে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেরাম ইন্সটিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পি