শহরের অবক্ষয় পৌঁছে গেছে গ্রামেও। একশ্রেণীর কিশোরের বখাটেপনায় অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। নিরাপত্তাহীনতায় মেয়েরা। ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে এর প্রভাব আরো বেশি।
দোহার উপজেলার ‘বেগম আয়েশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে’র পাশের রাস্তায় প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকে কিছু কিশোর। স্কুলে আসার পথে এক ছাত্রীকে ডাক দিলে ভয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সে।
এলাকাটি যেন কিছু বখাটে কিশোরের সাম্রাজ্য। স্কুলের সামনের রাস্তা, উপজেলা মার্কেট, অলিগলি, ভবনের ছাদ, সবকিছুই এদের দখলে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করাই যেন এদের কাজ। নিজেদের আধুনিক প্রমাণ করতে এরা প্রকাশ্যে ধুমপান ও মাদক সেবন করে।
এসব কিশোররা লেখাপড়া বাদ দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে রাস্তাঘাট। নানা কায়দার কসরতে তাক লাগানোর চেষ্টা। এর বাইরে ফেসবুকে একাধিক একাউন্ট খুলে চলে অপকর্ম।
নবাবগঞ্জের চালনাই ও গালিমপুরের প্রধান সড়ক আটকে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে এ ধরণের উৎপাত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কটাক্ষ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সেগুলোকে আবারো ইউটিউবে আপলোড করা হচ্ছে।
তুচ্ছ ঘটনায় দলবল নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া যেন এদের জন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এমন বখাটেপনায় আইনশৃঙ্খালা রক্ষাবাহিনীও যেন অসহায়।
এ ব্যাপারে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, যদি অভিভাবকরা আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন, তাহলেই আমরা এ কিশোরদের বখাটেপনা বন্ধ করতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমিন বলেন, এলাকায় কিছু বখাটে গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করা হবে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পারিবারিক শিক্ষার অভাব, অপসংস্কৃতির আগ্রাসন, রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক অবহেলা সব কিছু একবিন্দুতে মিলে আগামী প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছে অনিশ্চিত এক সময়ের দিকে। এ অবস্থা থেকে এখনই পরিত্রাণের উপায় খোঁজা দরকার।
এফএস/ এমকে