উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের দায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা, চীনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দেশটির জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো। সোমবার পশ্চিমা দেশগুলোর এক সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়।
চীনের চার ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা এবং তাদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে নতুন এ নিষেধাজ্ঞায়। এদের মধ্যে জিনজিয়াং-এর পুলিশ প্রধানও রয়েছেন। এর পরপরই চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আরও পড়ুন...
নাইজারে বাইক সন্ত্রাসীদের বন্দুকের গুলিতে গেল ১৩৭ প্রাণ
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দিশিবিরগুলোতে উইঘুরসহ অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে আটকে রেখেছে চীন। এসব শিবিরে বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। তবে চীন এগুলোকে ‘সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জিনজিয়াং-এর পরিস্থিতি যে গণহত্যা সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেখানে চীনের আচরণ মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। এ ছাড়া উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের আচরণকে গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করে কানাডা, নেদারল্যান্ডসও। সূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুন...
যুক্তরাষ্ট্রে মুদি দোকানে ঢুকে গুলি, পুলিশসহ নিহত ১০
টিএস/পি