সূর্যোদয়ের দেশ জাপানকে চেরি ফুলের দেশ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। নানা বর্ণ ও বাহারের বিখ্যাত চেরি ফুলের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ দেশটি। প্রতিবারের মতো এবারও বসন্ত বাতাসের ছোঁয়া লাগতেই জাপানে শুরু হয় চেরি ফুল ফোটার উৎসব। জাপানিরা এই উৎসবকে বলে হানামি আর চেরি ফুলকে ডাকে সাকুরা বলে।
এখন টোকিও, ওসাকা থেকে শুরু করে সবখানে শোভা পাচ্ছে সাদা কিংবা গোলাপি আভা। সচরাচর চেরি ফোটে গ্রীষ্মের শেষদিকে। পূর্ণ বিকশিত হতে যে তাপমাত্রার দরকার, চেরি সেটা পায় গ্রীষ্মের শেষে বা মাঝামাঝি। তবে চলতি বছর স্বাভাবিক সময়ের আগেই চেরি ফুল ফুটেছে জাপানে।
এ বছর পূর্ণ মাত্রার অর্থাৎ পুরো পরিস্ফুটিত চেরি দেখা গেছে ২৬ মার্চ যা গত ৩০ বছরের গড় সময়ের ১০ দিন আগে। তবে কিয়োটোতে এবারকার চেরি ফোটার ঘটনা ছিল ১২০০ বছরের মধ্যে ব্যতিক্রম। সেখানে প্রস্ফুটিত চেরি ফুল দেখা গেছে উদ্বেগজনক সময়ে।
এর আগে সেখানে সবচেয়ে দ্রুত ফুল ফোঁটার ঘটনা ছিল ৮১২ সালে। তবে মৌসুমের আগেই এত ফুল ফোটার ঘটনা সহসায় ঘটেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিই এর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় বড়সড়ো জলবায়ু বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।
ওসাকার পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এসব তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের বিষয়টি ইঙ্গিত দিচ্ছে আগেভাগেই পূর্ণ প্রস্ফুটিত চেরি। কারণ, চেরি ফুটতে যে তাপমাত্রা দরকার, সেটা হওয়ার কথা মধ্য গ্রীষ্মে। এর প্রধান কারণ হলো মধ্য বসন্তেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রীষ্মের মতো, যে কারণে প্রস্ফুটিত হয়েছে চেরি।
উল্লেখ্য, চেরি ফুল জাপানের জাতীয় মর্যাদা ও সংস্কৃতির প্রতীক। দেশটির ইতিহাস, ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই ফুল। সূত্র : সিএনএন
টিএস