প্রতিবেশী ভারতে বরাবরই নিগ্রহে শিকার হয় নারীরা। দিন দিন নারীদের প্রতি নিগ্রহের পরিমাণ বেড়েই চলেছে দেশটিতে। ফের সেরকমই আরেকটি ঘটনা সামনে এলো আবার। ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজ্য মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে।
সেখানে দুই বোনের বিয়ে ভেঙেছে। তার কারণ তাদের ভার্জিনিটি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। সেই পরীক্ষায় তারা ফেল করতেই নৃশংস অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
-
আরও পড়ুন ... বুধবার থেকে আসতে পারে সাধারণ ছুটির ঘোষণা
জানা গেছে, তাদের স্বামী পঞ্চায়েতে তালাকের জন্য অনুরোধ করে। তাতে সম্মতিও দেয় পঞ্চায়েত। গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হতেই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ওই স্বামী, শাশুড়ী এবং পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, দুই বোনকে বিবাহ বিচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া দু’জনের স্বামী, তার শাশুড়ী ও পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মহারাষ্ট্র সামাজিক বয়কট (প্রতিরোধ, নিষিদ্ধকরণ ও প্রতিরোধ) আইনের অধীনে মামলা করেছে।
নিগ্রহের শিকার দুই বোনের অভিযোগ, বিয়ের পরে দুজনকেই শ্বশুরবাড়ির ভার্জিনিটি টেস্টে আলাদা বেডরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। জানানো হয়, এটাই নাকি তাদের ঐতিহ্য। কুমারীত্ব পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় স্ত্রী।
এরপর অভিযোগ করা হয় তাদের বিয়ের আগেই অন্য কারও সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক ছিল। যদিও ভারতে ভার্জিনিটি টেস্ট বেআইনি।
-
আরও পড়ুন... ১২ ও ১৩ এপ্রিল নিয়ে ধোঁয়াশা কাটলো
এরপরে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয়। শ্বশুরবাড়িতে মারধরেরও শিকার হতে হয় তাদের। তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও যৌতুকও চাওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, রক্তপাত না হওয়া মানেই যে সে ভার্জিন নয়, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মনে রাখবেন, যোনি মুখে হাইমেন নামক একটি আংশিক আবরণ থাকে। যা দৌড়, নাচ, ঝাঁপ বা অতিরিক্ত পরিশ্রমেও ছিঁড়ে যেতে পারে। তার জন্য যৌন মিলনের প্রয়োজন হয় না। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টিএস