দুপুর না গড়াতেই একে একে শিশুরা আসতে শুরু করে প্রাঙ্গণে। সকাল থেকে শিশুদের শিক্ষকরা ব্যস্ত ছায়াতল সাজাতে। রঙিন কাগজ দিয়ে ফুলের নকশা তৈরি করে চারপাশ জুড়ে দিয়েছে তারা। ছায়াতলজুড়ে উৎসব আমেজ।
দুপুর গড়াতেই আশা শুরু করলো ক্ষুদে শিশুরা। যারা সমাজে ছিন্নমূল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এ দিনে তাদের মুখে সে ছাপ নেই। গায়ে বৈশাখের রঙিন কাপড়।
একে একে ৪ থেকে ৮ বছরের শিশুরা সারি বেঁধে বসতে শুরু করে। তাদের মাঝে রাখা হয় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য মাটির হাঁড়ি, পাতিল ও লুডু। ঘুড়ি-রঙিন কাগজ দিয়ে মাঠের গেট ও চারপাশ সাজানো হয়। তবে ছায়াতলের প্রবেশ পথে কাকাতুয়া ও হাতির নকশা সবার নজর কাড়ে।
শ্যামলী শিশু পার্ক মাঠে এ অনুষ্ঠানে শিশুরা নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি করে। কিছুক্ষণ বাদে শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয় বাতাসা, নারিকেলের নাড়ু, কদমা, মুরালি, মুড়ির মোয়া ও খই। এর পরে দেয়া হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশি।
এর পরই গান ধরেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ফাহিম ফয়সাল, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠশিল্পী নাজমুল হাসান প্রভাত এবং বাউল জাহিদুল ইসলাম।
গানের পালা শেষ হতে না হতেই জনপ্রিয় বংশীবাদক উত্তম কুমার চক্রবর্তীর সুরে ছায়াতল প্রাঙ্গণ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিশুদের করতালিতে উচ্ছ্বাসের হাওয়া বয়ে যায় পুরো প্রাঙ্গণে।
এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পথশিশুদের ছায়াতল’কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো. জালাল আহমেদ, অভিনেতা লিটু আনাম, ডিকেটেক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোশারফ হোসেন।
এসময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সভাপতি বি.এম. সোহেল রানাসহ অন্য সদস্যরা ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে শিশুদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।
এমসি/ডিএইচ