বুধবার বিকেলে হঠাৎই স্তব্ধ বাতাস, কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। সন্ধ্যের আগেই রাতের অনুভুতি। তীব্র ঝড় হাওয়ার সঙ্গে চমকে উঠে বজ্রপাত, নগরের বুকে নেমে আসে বৃষ্টি। তলিয়ে যায় সড়ক।
বৈশাখের ঝড় নগরবাসীর জন্য যেমন স্বস্তির তেমনি দুর্ভোগের কারণ। ডুবে যায় উন্নয়ন কাজের খাদগুলো। পথচারীদের জন্য হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ। কোনো বিপদসংকেতও নেই। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়েছেন কেউ কেউ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের নৌবন্দরগুলো থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে সারাদেশে বজ্রপাতে ৮ জন মারা গেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
সাড়ে পাঁচটার আগে ঢাকা সদরঘাটসহ যেসব নৌবন্দর থেকে নৌযান চলে গেছে, সেগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
২০ এপ্রিল রাত একটা পর্যন্ত এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ জন্য এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে হবে।
দেশের অন্যান্য এলাকার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এসজে