বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। দুপুর পৌনে তিনটায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন শেষ হয়।
এর আগে বৈরি আবহাওয়া সত্ত্বেও বহু মানুষ লাকী আখন্দের প্রতি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায়। সেখানে লাকী আখন্দকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
সকাল ১০টায় এ শিল্পীর প্রথম জানাজা হয় পুরান ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে। বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হয়।
দীর্ঘদিন ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সঙ্গীতের এ বরপুত্র। শুক্রবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর আরমানিটোলার বাসা থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুক্তিযোদ্ধা এ কণ্ঠশিল্পী।
১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্ম নেয়া এই শিল্পীর জীবন থেমে গেলো ৬১ বছর বয়সে।
আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন লাকী আখন্দ। ওই অ্যালবামের ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘রীতিনীতি জানি না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’ গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এ গুণী শিল্পী। এক দশক পর ১৯৯৮ সালে ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসেন লাকী আখন্দ।
-
শিল্পীকে গার্ড অব অনার, সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা (ভিডিও)
- গেল সপ্তাহে সুস্থ হয়ে ফেরেন লাকী আখন্দ
- লাকী আখন্দের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এইচএম / এমকে