কাজের অবসরে প্রায়ই ফেসবুকে ঢু মারতেন মা। নিউজফিডে ভেসে আসা নানা খবরাখবর দেখতেন। তেমনই একদিন ফেসবুকে ঢুকতেই মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন মা।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। এ ঘটনায় মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। ভুক্তভোগী তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অপরদিকে অভিযুক্ত যুবক অমিত গায়তণ্ডেও কলেজ পড়ুয়া।
মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তিন বছর আগে কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর সঙ্গে অমিতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিদিনই মোবাইল ফোনে দুজনের কথা হতো। প্রায়ই প্রেমিকের ছোটখাটো আবদার পূরণ করতেন প্রেমিকা। এক পর্যায়ে প্রেমিকার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে চান অমিত। প্রথমে রাজি না হলেও বিশ্বাস এবং ভালোবাসার শপথ করে ভিডিও কলে নাঈমের সামনে আসেন ওই তরুণী। আর সেই সুযোগে প্রেমিকার আপত্তিকর কিছু ছবি স্ক্রিনশট নেয়াসহ ভিডিওধারণ করেন অমিত।
এভাবে চলতে থাকলে এক পর্যায়ে প্রেমিকার সঙ্গে একান্তে দেখা করতে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার কক্ষে ঢোকেন অমিত। সে রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইলে রেকর্ড করে রাখেন সেই ঘটনার ভিডিও। ভোর হওয়ার আগেই কৌশলে তরুণীর ঘর থেকে সটকেও পড়েন তিনি।
-
আরও পড়ুন... পরীমণির পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাঙ্গা
এরপর থেকে ওই তরুণীর ফোনকল ধরতেন না অমিত। বারবার কল দেয়ায় এক পর্যায়ে কল রিসিভ করে তরুণীকে মোবাইলে কল দিতে নিষেধ করেন তিনি। কল দিলে তাদের একান্ত মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীর নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন অমিত। তারপর সেই আইডি থেকে তরুণীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। তরুণীর মা বিষয়টি ফেসবুকে দেখেই মেয়ের কাছ থেকে সব জানতে পারেন এবং স্থানীয় থানায় মামলা করেন।
মামলার পর ১৭ জুন রাতে অভিযুক্ত প্রতারক প্রেমিক অমিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটিও উদ্ধার করা হয়।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
টিএস