গত সপ্তাহে ওমানের উপকূলে একটি বাণিজ্যিক ট্যাংকারে ড্রোন হামলার ফরেনসিক তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা বলছে, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত যে, মনুষ্যবিহীন উড়ন্ত বাহনটি (ইউএভি) ইরানে তৈরি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
তারা জানিয়েছে, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের এই মতামত ব্রিটেন এবং ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। তারা এই ফলাফলের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন। ব্রিটেন ভিত্তিক ইসরায়েলি একজন ব্যবসায়ী পরিচালিত এমটি মার্সার স্ট্রিট ট্যাংকারে ওই হামলায় দুজন নিহত হয়েছিল।
নিহত হওয়া দুজন ব্রিটেন ও রোমানিয়ার নাগরিক। ওমানের মাসিরাহ দ্বীপের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ড্রোন থেকে ওই হামলা ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হন ব্রিটিশ একজন নিরাপত্তা রক্ষী অ্যাড্রিয়ান আন্ডারউড এবং জাহাজটির রোমানিয়ান ক্যাপ্টেন।
হামলার পরপরই এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও রোমানিয়া। কিন্তু ইরান সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তারা জানায়, যদি এ ব্যাপারে কোনও প্রমাণ থাকে তাহলে যেন তা প্রকাশ করা হয়।
এরপরই মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এই ফরেনসিক রিপোর্টের ফলাফল প্রকাশ করলো। হামলার পর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ট্যাংকারটি পরীক্ষা করে মার্কিন নৌবাহিনীর রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানের একদল বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। বেঁচে যাওয়াদের সাক্ষাৎকার এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তারা যায়, তিনটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
তারা জানায়, গত ২৯ জুলাই দুটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। তখন টার্গেটে আঘাত করতে পারেনি সেগুলো। কিন্তু পরদিন ৩০ জুলাই সামরিক গ্রেডের বিস্ফোরক দিয়ে তৃতীয় আরেকটি ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। সেটি পাইলটের ঘরে আঘাত হানলে তিনিসহ ওই গার্ড নিহত হয়। আর ২ মিটার ব্যাসার্ধের একটি গর্ত তৈরি হয়।
তদন্তকারী আরও জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হওয়ার রাসায়নিক পরীক্ষার পর তারা সেখানে আরডিএক্সের উপস্থিতি পেয়েছেন। তারা বলছেন, নাইট্রেট ভিত্তিক এই বিস্ফোরক দিয়ে হামলার উদ্দেশ্য ছিল আহত এবং ক্ষয়ক্ষতি করা। আর ড্রোনের অংশ বিশেষ পরীক্ষায় জানা গেছে, সেটি ইরানে তৈরি করা হয়েছে।
এ