সাপটি তাকে ছোবল দিয়েছিল। তার পাল্টা হিসেবে সাপটিকেই কামড়ে দিলো ওই আদিবাসী যুবক। এরপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সাপটি। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের ওড়িশার জয়পুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
জানা গেছে, ধানক্ষেতের কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন কিশোর বদরা নামের ৪৫ বছরের এক যুবক। অন্ধকার মাঠের আড়ালেই লুকিয়ে ছিল সাপটি। তার গায়ে পা পড়তেই আত্মরক্ষার্থে কামড় বসিয়ে দেয় কিশোরের পায়ে। আতঙ্কে মাথাখারাপ হয়ে যায় তার। সাপটাকে নিজের হাতে ধরে ফেলে। আর তারপর বসিয়ে দেয় কামড়।
কিশোরের কথায়, রাতে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বুঝতে পারি কি যেন আমার পায়ে কামড় দিয়েছে। টর্চ জ্বালাতেই দেখতে পাই একটা কেউটে। বদলা নিতে আমি সেটাকে হাতে তুলে নিয়ে কামড়াতে থাকি। কিছুক্ষণ পর দেখতে পারি সাপটি নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।
তখন তিনি বুঝতে পারেন মারা গেছে সাপটি। তখন সেটিকে হাতে ঝুলিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কিশোর। স্ত্রীকে সগর্বে জানান নিজের কীর্তির কথা। দ্রুতই গ্রামে চাউড় হয়ে যায় আজব এই ঘটনা। লোকজন ছুটে আসে কিশোরকে দেখতে। ভিড় জমতে থাকে কিশোরের বাড়িতে। এমন ঘটনার কথা যে তারা কেউই কোনোদিন শোনেননি!
কিন্তু সাপটিকে কামড়ে মারলেও কোনও অসুবিধাই নাকি হয়নি কিশোরের। তিনি বলেন, ওই বিষাক্ত সাপটিকে কামড়ে দেয়ার পরও আমার শরীরে কোনও অসুবিধা হয়নি। তবে আমি স্থানীয় এক ওঝার কাছে গিয়েছিলাম। আর কোথাও যাওয়ার দরকার পড়েনি।
এ