গণধর্ষণের অভিযোগে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন শেখকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গেলো ১০ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগের এ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে।
একইসঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ছাত্রলীগের এ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আর এ তথ্য আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা।
ওসি আরো বলেন, গেলো ৫ মে মনোহরপুর গ্রামের এক গৃহবধূ ও প্রতিবেশী এক নারী কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন ঢাকায় যাবার উদ্দেশে। তখন কয়েক যুবক তাদের ট্রেন আসতে দেরি হবে জানিয়ে বিশ্রাম করার কথা বলে পাশের আমবাগানে নিয়ে যায়।
আর সেখানে রাত থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে বুধবার ভোরে ওই গৃহবধূ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে ওইদিনই ছাত্রলীগ নেতা শাহীন শেখসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আর অন্য দুজন সবুজ ও আজগর পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহীন শেখ, উপজেলার বাজেবামুনদা গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের ছেলে কৃষ্ণ দাস ও স্টেশনপাড়ার হারেজ আলির ছেলে রাজু আহমেদ।
আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরটিভি আরটিভি অনলাইনকে শাকিল আহমেদ বলেন, শাহিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার তথ্য জানার পর তদন্ত করে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে সুপারিশ করা হয়েছে আর তারই প্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর/সি