রাজধানীতে বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের মারধর করেছে শিখর পরিবহনের চালক ও হেলপাররা।
সোমবার সকালে ফার্মগেইটে এ ঘটনা ঘটে। গাড়ির নম্বর শিখর (ঢাকা মেট্রো জ ১১-১৬৭০)।
এ ঘটনায় চারজন ছাত্রের মাথা ফাটিয়ে তাদের গুরুতর আহত করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে আহত ছাত্রদের সহপাঠীরা তাৎক্ষণিক রাস্তায় আন্দোলন শুরু করে এবং শিখর পরিরহনের বাসে ভাঙচুর চালায়। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে ছাত্ররা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, সকালে বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাসের হেলপারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্ররা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে তাদেরকে পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে ছাত্ররা বলছেন পুলিশ বাস চালদের কিছু না বলে উল্টো ছাত্রদের লাঠিচার্জ করে।
কয়েকজন ছাত্র অভিযোগ করে জানান, কলেজের পোশাক পরা অবস্থায় দেখেও কীভাবে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠি দিয়ে হামলা করল? পুলিশ জনগণের বন্ধু না শত্রু? উনারা আমাদের সঙ্গে শিখর বাস আটক করে এর একটা বিচার করতে পারত। কিন্তু তা না করে পুলিশ উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ছাত্ররা বলেন, প্রত্যেক বাস ছাত্রদের থেকে হাফ ভাড়া নেয়, কিন্তু শিখর পরিবহন ছাত্রদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে প্রায় সময় ঝামেলা করে। সরকার ছাত্রদের থেকে হাফ ভাড়া আদায় করার কথা বলছে কিন্তু এই নিয়ম অনেক বাস মানছে না।
আর/এমকে