ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৭০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। এতে নিজেদের বহু হিসাবের ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়িয়েছে ২৭১। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫.৪২ গড়ে এ রান করতে হবে টাইগারদের।
বুধবার ডাবলিনের ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথমে ফিল্ডিং নেয়ার যৌক্তিকতাও দেখান তিনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কিউই ওপেনার টম লাথামকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন ম্যাশ। তবে তা তালুবন্দি করতে পারেননি দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা দেশসেরা ফিল্ডার নাসির হোসেন। তবে প্রথম উইকেটের দেখা পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। দলীয় ২৩ রানে টাইগার বোলিং সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন কিউই ওপেনার লুক রঞ্চি (২)।
এরপর নিল ব্রুমকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে এগিয়ে যান লাথাম। এতে কিউই ওপেনারকে যোগ্য সঙ্গ দেন মারকুটে ব্যাটসম্যান ব্রুম। দু’জনে মিলে ভোগাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলারদের। অবশেষে দলীয় ১৫৬ রানে নাসিরের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রুম (৬৩)। ৭ চারে ৭৬ বলে এ রান করেন তিনি। ততক্ষণে তারা দলের শক্ত ভিত গড়ে দেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ১৩৩ রান।
অবশ্য এতে আম্পয়ারদের অবদান রয়েছে বেশ। রুবেলের হোসেনের বলে লাথাম ও মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ব্রুম নিশ্চিত এলবিডব্লিউ হলেও তা দেননি তারা।
সঙ্গী হারিয়ে অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি টম লাথাম। দলীয় ১৬৭ রানে নাসির হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বিধ্বংসী এ ওপেনার (৮৪)। ১১ চারের সাহায্যে ৯২ বল থেকে এ দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন মারকাটারি ব্যাটসম্যান কোরি অ্যান্ডারসন। তাকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ রস টেইলর। এ যাত্রায় ব্যর্থ হন অ্যান্ডারসন (২৪)। দলীয় ২০৮ রানে সাকিব আল হাসানের বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
অ্যান্ডারসনের বিদায়ের পরপরই সাজঘরে ফেরেন সদ্য ক্রিজে আসা জেমস নিশাম (৬)। দলীয় ২২৪ রানে মাশরাফির শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরই সঙ্গে খেলায় ফিরে বাংলাদেশ।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান মিচেল স্যান্টনারকে (০) বোল্ড করে ফেরান সাকিব আল হাসান। এতে ভালোভাবেই খেলায় ফিরে টাইগাররা।
দলীয় স্কোর বোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই বাংলাদেশ অধিনায়কের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কিউই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান কলিন মুনরো (১)। ফলে কিউইদের রান ২৫০ পার হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা অভিজ্ঞ রস টেইলরের বিচক্ষণতায় শেষ পর্যন্ত সবক’টি ওভার খেলে ৮ উইকেটে ২৭০ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। এরই মধ্যে দলীয় ২৫৮ রানে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কিউই লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যাট হেনরি (৫)। ৫৬ বলে ৬ চারে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন টেইলর। অপরপ্রান্তে ৭ বলে রান করে অপরাজিত থাকেন জিতান প্যাটেল।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, নাসির ও সাকিব। আর ১টি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ ও রুবেল।
ডিএইচ