আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পাঁচ মাস পর অবশেষে নিউইয়র্কের বাড়ি ছেড়ে হোয়াইট হাউজে উঠলেন স্ত্রী মেলানিয়া ও তাদের ছেলে ব্যারন।
ট্রাম্প জানুয়ারি থেকে হোয়াইট হাউজে বসবাস শুরু করলেও মেলানিয়া তার ১১ বছরের ছেলে ব্যারনের স্কুলের চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া পর্যন্ত তার স্কুল বা এলাকা বদলাতে চাননি, ছেলের পড়ায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেই চিন্তায়।
এজন্য এতদিন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারে থেকে গিয়েছিলেন মেলানিয়া ছেলেকে নিয়ে।
অবশ্য এর আগে সাত মাস থাকার কথা বললেও পাঁচ মাস পরই হোয়াইট হাউজে চলে এলেন ট্রাম্পের বর্তমান স্ত্রী ও তাদের ছেলে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আগে কোনো ফার্স্ট লেডি স্বামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজধানীতে চলে আসতে এত দেরি করেননি।
এমনকি ট্রাম্পের আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল তো মেয়েদের নতুন স্কুলে শিক্ষাবর্ষের প্রথমে ভর্তি করানোর জন্য ওবামা শপথ নেয়ার আগেই ওয়াশিংটনে চলে গিয়েছিলেন।
নতুন বাসায় উঠে বেশ আনন্দিত ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া।
হোয়াইট হাউজের একটি জানালার ছবি তুলে তিনি সোশ্যাল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে পোস্ট করে সেই আনন্দের প্রকাশ করেছেন। ছবিতে সেই জানালা দিয়ে বাইরের সবুজ লনটাও দেখা যায়। সেই পোস্টে নতুন আবাসে নতুন নতুন সুখস্মৃতি তৈরির আশা করেছেন ফার্স্ট লেডি।
অবশ্য তাদের নিজ বাড়ি ছেড়ে হোয়াইট হাউজে স্থানান্তরে নিউইয়র্কবাসীও কম খুশি নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী-সন্তানকে নিরাপদ রাখার জন্য নিরাপত্তাজনিত বেশ ঝক্কিঝামেলা প্রায় প্রতিদিন সইতে হতো নিউইয়র্কের জনগণকে। তাছাড়াও মেলানিয়া এবং ব্যারনের যাতায়াত-প্রটোকলের কারণে ম্যানহাটন শহরের ওই এলাকাগুলোতে মাঝেমাঝেই ট্রাফিক জ্যাম বেঁধে যেত।
এপি