ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় আহতদের দেখতে হঠাৎ করে হাসপাতাল পরিদর্শনে গেছেন ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
রোববার (২০ মার্চ) বিবিসি আপটেডে বলা হয়েছে, রাজধানী রোমের ভ্যাটিকানের শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তিনি।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির প্রায় ৫০ শিশুকে ইতালির বামবিনো গেসু পেডিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালটিতে ১৯ জন রোগী রয়েছে। কেউ কেউ যুদ্ধের প্রথম দিকে পালিয়ে এসেছিল। কারও কারও স্নায়বিক অবস্থা খারাপ ছিল। অন্যদের গুরুতর বিস্ফোরণের ক্ষত ছিল বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ।
বামবিনো গেসু পেডিয়াট্রিক হাসপাতাল পরিদর্শনের আগে শনিবার পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, আসুন যুদ্ধে আহত বামবিনো গেসুর শিশুদের জন্য প্রার্থনা করি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৮৪৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি