শাহজালালে এবার ৩১ লাখ টাকার মোবাইল এক্সেসরিজ আটক করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহপরিচালক মইনুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা শাহজালাল বিমানবন্দর এয়ারকার্গোর ১ নম্বর গেইটের বাইরে থেকে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে প্রায় ৩১ লাখ টাকার মোবাইল এক্সেসরিজের একটি চালান আটক করে। চীন থেকে আসা মোবাইল এক্সেসরিজের চালানটিতে ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য খালাস নেয়া হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা দল এয়ারকার্গো ইউনিটের ১ নম্বর গেইটের বাইরে অবস্থান নেয়। আনুমানিক বেলা ১২টায় পণ্য চালানটি খালাসকালে গেইটের বাইরে থেকে আটক করা হয়।
এই পণ্যের মাস্টার এয়ারওয়ে বিল নম্বর: ৮৫১-২৬৮৮৪৭৫৬। চালানটির আমদানিকারক: এস কে ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা ও সিএন্ডএফ এজেন্ট: লাবিবা এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা। বি/ই নম্বর-সি-৫২৫১০৭, তারিখ:১২/০৬/২০১৭ এর মাধ্যমে আনা চালানে মোট ৪৮৫টি কার্টন ছিল। পরবর্তীতে চালানটি আবার পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, আমদানিকারকের ঘোষণার চেয়ে অতিরিক্ত ১২০.৫৭ কেজি মোবাইল এলসিডি আছে।
পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ১৬৮ এর ক্ষমতাবলে চালানটি আটক করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা পুনঃশুল্কায়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত শুল্ক-করাদি আদায় করে। আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্যের মূল্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রাথমিকভাবে ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা শুল্ককরাদি পরিশোধ করা হয়েছিল। শুল্ক গোয়েন্দার হস্তক্ষেপের কারণে পরবর্তীতে তাদের জরিমানাসহ সর্বমোট প্রায় ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা শুল্ককরাদি পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ চালানটিতে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছিল।
অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকা সোনালি ব্যাংকের কাস্টম হাউস, ঢাকা শাখায় আজ বি/ইর বিপরীতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি এয়ারকার্গো কমপ্লেক্সে এই পণ্য খালাসে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দা।
আর/সি