চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারকে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিপুল কুমার দে এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম, উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ হেলাল খান, নাসির উদ্দীন রাসেল, সোলায়মান পাটোয়ারী, সহকারি উপ-পরিদর্শক ফখরুল ইসলাম, মোরশেদ আলম ও মোহাম্মদ রুবেল।
নির্যাতনের শিকার চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনের বাড়ি লোহাগাড়া থানাধীন সর্দারি পাড়ায়।
আনোয়ার হোসেনের আইনজীবী এডভোকেট ওপেল কান্তি নাথ আরটিভি অনলাইনকে জানান, চলতি বছরের ১২ মে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট তামিল করতে লোহাগাড়া থানা থেকে কয়েজন পুলিশ যায় আনোয়ারদের বাড়িতে। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে থাকায় আনোয়ার হোসেন তাদের পরিচয় জানতে চান।
একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পুলিশ দেলওয়ার হোসেনকে না পেয়ে আনোয়ার হোসেনকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর থানা হেফাজতে আনোয়ার হোসেনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন পুলিশের কাজে বাধা দেয়া সংক্রান্ত একটি মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠায় লোহাগাড়া থানা পুলিশ ।
কারাগার থেকে ১৬ মে জামিনে বের হয়ে আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। ১৮ মে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চম আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আনোয়ার হোসেনের শারীরিক নির্যাতনের আলামত পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেন।
এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত ।
এসজে