ফের ভারি বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির জনজীবনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষরা ছুটে যাচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
রাঙামাটির ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
রাঙামাটির অনেক স্থাপনা পাহাড়ের উপর উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, প্রায় ১৫টি সরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে পুরো রাঙামাটিতে এখন শোকের ছায়া। গেলো সোমবারের ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে নিহত হন ১১০ জন। আপনজনদের হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা। স্বজন হারানোদের এমন আহাজারিতে রাঙামাটি এখন এক স্তব্ধ ও শোকের জনপদে পরিণত হয়েছে।
অনেকেই হারিয়েছে পরিবারের সব সদস্যকে। আবার অনেকেই এখনো খুঁজে পাচ্ছেন না আপনজনদের। এ বিপুল সংখ্যক মানুষের করুণ মৃত্যু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটির সৌন্দর্যকে যেনো অনেকটাই মলিন করে দিয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগলোকে পুনর্বাসনসহ আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাহাড় ধসে আর যেনো কোনো করুণ মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আগাম প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অনিরাপদ বসতি সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন রাঙামাটিবাসী।
এসএস