ঢাকাশুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

অনেক গার্মেন্টসে এখনো বেতন-বোনাস বাকি (ভিডিও)

মিথুন চৌধুরী

বুধবার, ২১ জুন ২০১৭ , ০৮:৪৮ পিএম


loading/img

২০ রোজার মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের কথা বলা হলেও, দেয়া হয়নি অধিকাংশ কারখানার ঈদ বোনাস ও বেতন। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান আগের মাসের বেতন ও ভাতা আটকে রেখেছে। এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠান ঈদের আগে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। তবে শ্রমিকেরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান মালিক পক্ষ।

বিজ্ঞাপন

তাই বেতন-ভাতা পেতে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইতে ভিড় করছেন সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।

বুধবার বিজিএমই ভবনের সামনে ঈদের আগ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাওয়া শেড ফ্যাশানের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য জড়ো হন।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিকরা জানান, গেলো দুই মাস ধরে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ ছিল। ১ মাসের বেতন কিছুদিন আগে পেয়েছেন তারা। কিন্তু গেলো মাসের বেতন ও বোনাস তারা এখনো পাননি।  তাই তারা বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাস পেতে বিজিএমইতে এসেছেন সহায়তার জন্য।  

এ বিষয়ে সেড ফ্যাশানের মালিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। শুধু সেড ফ্যাশান নয়, রমজান মাস জুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিজিএমইর সামনে বেতন-বোনাস পেতে জড়ো হতে দেখা যায়।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার জানান, এখনো অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেয়া হয়নি। শ্রমিকদের রমজানজুড়ে অতিরিক্ত খাটানো হয় কারখানার উৎপাদন ঠিক রাখতে। কিন্তু প্রতি বছর পোশাক কারখানার মালিকরা ঈদের আগে এমন সময় বেতন-ভাতা দেন যে পোশাক শ্রমিকেরা না পারেন ঈদের জামা কিনতে, না পারেন বাসের টিকিট কাটতে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গেলো ২৯ মে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, শ্রমসচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএর সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সামছুজ্জামান ভূঁইয়াসহ শ্রমিক নেতারা ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট–বিষয়ক কোর কমিটি’র ৩৩তম সভা করেছিলেন।

এসময় বিজিএমইএ থেকে বলা হয়েছিল ২০ রোজার মধ্যে পোশাক শ্রমিকেরা ঈদ বোনাস বা উৎসব ভাতা পেয়ে যাবেন। আর জুন মাসের বেতনের বিষয়ে জানানো হয় মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ১০-১৫ দিনের মজুরি মালিকরা পরিশোধ করবেন। এসব নিশ্চিতে প্রতিবছরের মতো এবারও বিজিএমইএতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ। যারা সব বিষয়ে তদারকি করছে।

অনেক পোশাক কারখানায় বেতন ও ভাতা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাকশিল্পের অবস্থা খুবই নাজুক। বিগত ১০ বছরে আমাদের গড় প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ থাকলেও, গেলো ১০ মাসে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ২১ শতাংশ। পোশাক শিল্প কঠিন সময় পার করছে। তারপরও শ্রমিকেরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলছি, যাতে করে তারা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়ে দেন। পাশাপাশি বিজিএমই’র কাছে শ্রমিকরা বেতন-বোনাস দিয়ে দাবি করলে তা মিমাংসা করে দেয়া হচ্ছে।

গেলো ১৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত ও ঈদপূর্ব বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা  নিয়ে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, যানজট এড়াতে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ছুটি ধাপে ধাপে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে সব কারখানার শ্রমিকদের পাওনা, বোনাস ও বেতন পরিশোধের কথা মালিকদের বলা হয়েছে।

এমসি/জেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |