ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রকৃতির কাছে ঈদের ছুটি কাটাতে হলে যেখানে যাবেন

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭ , ০২:৪০ পিএম


loading/img

ঈদ মানেই লম্বা ছুটি, প্রাণভরে নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ। ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তিরা তাই ঈদ এলেই খুশিতে নেচে ওঠেন। এবার ঈদে কোথায় বেড়াতে যাব এবং কে কে যাব, সেই নিয়ে আলোচনা চলছে নিশ্চয়। এই দমবন্ধ যানজটে পরিপূর্ণ যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তির জন্য এই বেড়ানোটুকুই আমাদের সম্বল। চলুন জেনে নেয়া যাক এবার ঈদে কোথায় কোথায় ঘুরে আসতে পারেন তার একটা তালিকা।

বিজ্ঞাপন

নাজিমগড় রিসোর্ট

সিলেট শহরের প্রান্তে পাহাড়ের পাদদেশে নাজিমগড় রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। রিসোর্টের অতিথিদের জন্য আশপাশে বেড়ানোর ব্যবস্থাও আছে। বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ আছে এখানে, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার পাবেন।

বিজ্ঞাপন

হিল সাইড রিসোর্ট

বান্দরবন জেলা থেকে চার কিলোমিটার দূরে চিম্বুক সড়কে মিলনছড়িতে আছে হিল সাইড রিসোর্ট। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি মনোরম কটেজ ও ডরমিটরি। রয়েছে বম ঘর, মারমা ঘর, বাঁশের তৈরি ঘর।

পদ্মা রিসোর্ট

বিজ্ঞাপন

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানায় পদ্মা নদীর চরে এই রিসোর্ট। ২৫টি ঘর রয়েছে। ১৫৫ জন ধারণক্ষমতার একটি রেস্তোরাঁও রয়েছে। বনভোজন বা পার্টিতে আয়োজকেরা চাইলে নিজেরাই রান্না করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

ফয়েস লেক রিসোর্ট

চট্টগ্রামে ফয়েস লেকের ভেতরে রয়েছে কনকর্ডের তৈরি এই রিসোর্ট। ২০ মিনিটের হ্রদযাত্রা শেষে পৌঁছাবেন এই রিসোর্টে। এর পাশে রয়েছে ওয়াটার পার্ক।

অরুণিমা 

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মধুমতীর তীরে পানিপাড়া গ্রামে গড়ে উঠেছে অরুণিমা কান্ট্রিসাইড রিসোর্ট। হ্রদে বেড়ানোর জন্য রয়েছে ছোট-বড় ডিঙি।

এলেঙ্গা রিসোর্ট

টাঙ্গাইল শহর থেকে সাত কিলোমিটার উত্তরে এলেঙ্গায় গড়ে উঠেছে এই রিসোর্ট। আছে রেস্তোরাঁসহ নানা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। নৌ ভ্রমণের জন্য রয়েছে ট্রলার, দেশি নৌকা ও স্পিডবোট।

মারমেইড ইকো রিসোর্ট, প্যাঁচার দ্বীপ, কক্সবাজার

হিমছড়ি আর ইনানী বিচের মাঝামাঝি প্যাঁচার দ্বীপে এর অবস্থান। রোমাঞ্চপ্রিয় ব্যক্তিরা কক্সবাজার থেকে সাগর ধরে হেঁটে গেলে ঘণ্টা দুইয়ের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। সিএনজি অটো রিকশাতেও যাওয়া যায়। পানির ওপর বাঁশের কুঁড়েতে থাকার ব্যবস্থা আছে। দুপুর বা রাতে সি-ফুড, ইউরোপীয়, ক্যারিবীয় ও দেশি খাবার পাবেন।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের রাথুরা মৌজায় এই সাফারি পার্ক। প্রায় চার হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এটি। ছায়া সুনিবিড় প্রাকৃতিক শোভায় ভরা এ পার্কে রয়েছে ভাওয়ালগড়ের ঐতিহ্যবাহী গজারি গাছ, শালবন, আকাশ মণি, কাশবন, ছন। এখানে আরও রয়েছে আটটি বাঘ, চারটি সিংহ, চারটি ভাল্লুক, চারটি জিরাফ, তিনটি জেব্রা ও দশটি বন্য গরু। এছাড়াও কুমির, সাপ, উটপাখিও আছে।

পানামনগর

৪০০ বছর আগের সেই জৌলুশ না থাকলেও সেই সোনালি দিনের ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সোনারগাঁওয়ের পানামনগর। সেখানে মোগল রাজা ঈশা খাঁর আমলে নির্মিত কিছু প্রাসাদ আর পুরাকীর্তি এখনো আপনাকে মনে করিয়ে দেবে কত শত বছর আগেও কত সমৃদ্ধ ছিল আমাদের এই দেশ।

সোনারগাঁ জাদুঘর ও সংলগ্ন পার্ক

পানামনগরের পাশেই গড়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। পুরনো দিনের গ্রামীণ ঐতিহ্য থেকে শুরু করে আগেকার আমলের রাজাদের ব্যবহৃত সব আসবাবপত্র ও যুদ্ধাস্ত্র দেখতে পারবেন সেখানে।

আরকে/এমকে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |