সময় পেরিয়ে ১ বছর পূর্ণ হলো গুলশানের হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির। গেলো বছরের ১ জুলাই ২৪ রমজান ভয়াবহ হামলার শিকার হন ঢাকার গুলশানে অবস্থিত স্প্যানিশ বেকারি হলি আর্টিজানের আসা ব্যক্তিরা। বিভীষিকাময় সেই হামলায় ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন।
এদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি, একজন ভারতীয়, ৯ জন ইতালীয় ও ৭ জন জাপানি নাগরিক। পরে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে শেষ হয় ১২ ঘণ্টার জিম্মি অভিযানের। হামলাকারী ৫ জঙ্গিসহ নিহত হয় ৬ জন।
ভয়াবহ ওই হামলায় শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। বিশ্ব মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রচার করা হয় হলি আর্টিজান হামলা। যার নাম দেয়া হয় 'ঢাকা অ্যাটাক'। এরপরই সারাদেশে শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। একে একে নিহত এবং গ্রেপ্তার হন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রথম সারির জঙ্গিরা।
১ জুলাই হামলার পর দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকে হলি আর্টিজান। এরপর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি গুলশান-২’র উত্তর এভিনিউয়ে ১৫৩ নম্বর র্যাংগস অর্কিডের দ্বিতীয় তলায় ছোট্ট পরিসরে চালু হয় আলোচিত এই রেস্তোরাটি।
নতুনভাবে স্থান পরিবর্তন হয়ে শুরু হওয়া হলি আর্টিজানে রয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি। হামলার ভয়াবহতা পেছনে ফেলে ফের এগিয়ে চলেছে আর্টিজানের রাস্তা। ফিরে এসেছে সেই কর্মচঞ্চলতা। বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা।
তবে নতুন করে যাত্রা করা হলি আর্টিজান আর আগের আর্টিজানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যা আগের তুলনায় দশ ভাগের এক ভাগ। নেই আগের মতো ২৪ ঘণ্টার সার্ভিস ও রেস্টুরেন্ট। বর্তমানে রেস্তোরাটি খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
হলি আর্টিজানে নেই আগের মতো কর্মীও। ১ জুলাইয়ের হামলার সময় রেস্তোরাটিতে কাজ করতেন ৭০ জন কর্মচারী। বর্তমানে সেখানে ২৫ জনের মত লোক কাজ করছেন। সংকট রয়েছে জায়গারও। বসানো হয়েছে মাত্র ৪টি টেবিল। ফলে আগে রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খেলেও এখন সেই সুযোগ নেই ক্রেতাদের জন্য। তাই বেশিরভাগ ক্রেতাই নিজের পছন্দের খাবার কিনে নিয়ে যান।
এইচটি/এসজে