কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন নগর-মহানগর ও জেলা শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা অভিশাপের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে মঙ্গলবারও নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে রয়েছেন বাসিন্দারা। এদিকে পানিতে সড়ক ডুবে থাকায় বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায়।
পানিতে শুধু রাস্তাঘাট নয়, হাঁটুজল বাসাবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। সড়কে হাঁটুজল ডিঙ্গিয়ে চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে। জলাবদ্ধতার কারণে এমন দুর্ভোগের শিকার চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টি আর জোয়ারে প্লাবিত নগরীর নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে সিডিএ আবাসিক, হালিশহর, শান্তিবাগ ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন।
খাতুনগঞ্জ বাজারে পানি ঢুকে নষ্ট হবার পথে কোটি কোটি টাকার মালামাল। যানবাহনেও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে সড়ক ডুবে থাকায় এখনো স্বাভাবিক হয়নি বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ। সাতকানিয়ার বাজালিয়ায় সড়ক ডুবে থাকায় বিপাকে স্থানীয়রা।
অপরদিকে ফেনীর ছোট নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। প্লাবিত হয়েছে দাগনভূঞা উপজেলার ১৫টি গ্রাম। এসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। বন্ধ রাখা হয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
টানা বর্ষণে বাগেরহাট পৌর শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ডুবে গেছে মাছের ঘের ও ফসলের জমি।
এছাড়া গেলো দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুর পৌরশহরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি ওঠে দুর্ভোগে বাসিন্দারা। ঝালকাঠিতে সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পানি বেড়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসএস