ইউক্রেনে পুতিনের বিশেষ সামরিক অভিযানের কারণে গোটা ইউরোপে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
এবার দেশটিতে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। রাত ১২ টার পর ফরাসিদের গর্বের প্রতীক আইফেল টাওয়ারের বাতিও নেভানো হচ্ছে। বিচলিত না হয়ে সরকারের পাশে থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইমানুয়েল ম্যাখো প্রশাসন।
ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইউক্যান-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে এ বছর ফ্রান্সের লোভ শুটিং হবে। এই জন্য জনগণ বিচলিত না হয়ে সরকারকে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন। বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ, হিটার ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে দেশটির পরিবেশবাদীরাও। রাতের বেলায় অপ্রয়োজনে জ্বালিয়ে রাখা বাতি নিভিয়ে দেন তারা। দোকানের বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডের বাতিও নিভিয়ে দেয়া হয়েছে।
দেয়াল বেয়ে উঠে দোকানের শোকেস ও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের বাতি নিভিয়ে দেন। তাদের এমন কাজে পৌর কর্তৃপক্ষেরও সমর্থন রয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্যারিসের ‘অন দ্য স্পট পার্কুর’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা এ কাজ করছেন। এ সংগঠনের সদস্য ক্রীড়াবিদেরা সহজেই রাতে দেওয়াল বেয়ে উঠে দোকানের শোকেস ও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের বাতি নিভিয়ে দেন। পার্কুর সদস্য এমেরিক কোত্যাঁ এ উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘জ্বালানির অপচয় এড়াতেই আমরা এ কাজ করি।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে। বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির বেশি। সবাই যদি ছোট ছোট পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে অনেক পরিবর্তন আনতে পারি। সেটাই আমাদের বার্তা। কাজটা করতেও ভালো লাগে। আমরা চ্যালেঞ্জ ভালোবাসি এবং সন্ধ্যাটা সুন্দর কাটে। সেটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।
২০২০ সাল থেকে ওই সংগঠনের সদস্যরা রাত একটা নাগাদ প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে মিলিত হন। তারপর তারা চারপাশে ছড়িয়ে পড়েন। তবে সেই প্রক্রিয়ায় কিছু নিয়ম মেনে চলেন তারা।