রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেককে কেন্দ্র করে মাতোয়ারা ব্রিটেন। সবার দৃষ্টিও আজ ব্রিটিশ রাজপরিবারের দিকে। ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি যোগ দিলেও অনুপস্থিত তার স্ত্রী মেগান মার্কেল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দুই সন্তান প্রিন্স আর্চি এবং প্রিন্সেস লিলিবেটকে নিয়ে মেগান ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থান করছেন। তাদের চার বছর বয়সী বড় সন্তান প্রিন্স আর্চি সিংহাসনের ষষ্ঠ দাবীদার।
শনিবার (০৬ মে) সকালেই উৎসবের আমেজে শুরু হয় রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান। এরপর স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়) নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে অভিষিক্ত হন রাজা চার্লস।
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সেখানে কোনো রকম আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করছেন না প্রিন্স হ্যারি। এমনকি বাবার অভিষেক শোভাযাত্রাতেও অংশ নেননি তিনি। অনুষ্ঠান শেষে সমাবেত জনতাকে সম্ভাষণ জানাতে তিনি পরিবারের সাথে প্রাসাদের ব্যালকনিতে যোগ দেবেন কি না তাও স্পষ্ট নয়।
রাজা তৃতীয় চার্লসের ছোট ছেলে ও সিংহাসনের পঞ্চম উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি রাজদায়িত্ব ছেড়ে তার স্ত্রী মেগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন। তারা নানান সময়ে রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছেন।
হ্যারি ও মেগান দম্পতি ২০২০ সালে রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাকাপাকিভাবে থিতু হয়েছেন। যুক্তরাজ্য ছাড়ার পর থেকে তাদের সঙ্গে রাজপরিবারের অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়। বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে, স্মৃতিকথা লিখে এ দম্পতি প্রাসাদের অনেক অজানা খবর ফাঁস করেছেন। জন্ম দিয়েছেন বিতর্ক ও সমালোচনার।
প্রিন্স হ্যারির লেখা বই স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ তিনি তার জীবনের সব ঘটনা তুলে ধরেন। ওই বইতে হ্যারি উল্লেখ করেন, রাজপরিবারে ছোটবেলা অবহেলার শিকার হয়েছেন হ্যারি। ২০১৮ সালে মেগান মার্কেলের সঙ্গে বিয়ের পর তার স্ত্রীর ওপরও নির্যাতন চালায় রাজপরিবারের সদস্যরা। তারা মেগানের বর্ণবাদ আচরণ করতেন।
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান