সম্প্রতি ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (আইএমইসি) চুক্তিতে সই করেছে সৌদির আরব। আইএমইসিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের বিরুদ্ধে পাল্টা উদ্যোগ মনে করা হলেও সৌদি আরব তার সকল সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার চীনা ভাষা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, গত অগাস্টে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রোববার ও সোমবার বিদ্যালয়ের চতুর্থ পিরিয়ডে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। পুরো সেমিস্টারে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি ভাষা দক্ষতার ক্লাস রাখা হয়। সৌদির স্কুলে মান্দারিন শেখানোর শুরু ২০১৯ সালে ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের চীন সফরের সময়।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে সৌদি আরব মান্দারিন ভাষা শিক্ষা শুরু করে। অন্যদিকে ২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের কিন্ডারগার্টেন থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বিকল্প বিষয় হিসেবে চীনা ভাষা অন্তর্ভুক্ত করে। এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেড়শরও বেশি স্কুলে ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে চীনা ভাষায় পাঠদান করা হচ্ছে।
আবার চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নতুন আইন অনুমোদনের পর থেকে ইরানও স্কুলগুলোতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে চালুর পরিকল্পনা করছে।
গত মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরানের মত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ব্রিকসের সদস্য হয়েছে। অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে ইরান ও সৌদি আরব রক্তাক্ত সামরিক সংঘাতে যুক্ত ছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসে এই দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব হ্রাস করতে মধ্যস্থতা করে চীন। শুরু থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পর এবার ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের অবস্থান তৈরি করছে চীন।