ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ওয়াশিংটন যদি ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতা বাতিল করে তবে তেহরানও সেটি থেকে সরে আসবে। বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে খামেনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইরান এই চুক্তির প্রতি ততক্ষণ সম্মান দেখাবে যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাক্ষরকারী অন্যান্য দেশও এটির ব্যাপারে সম্মান দেখায়। খবর রয়টার্সের।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ব্যাপারে নতুন করে কঠোর মনোভাব পোষণের এই মন্তব্য করলেন খামেনি। সর্বশেষ পাঁচদিন আগে ট্রাম্প এক বক্তব্যে তার পূর্বসরী বারাক ওবামার সময় করা এই চুক্তি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি এটি বাতিলেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে খামেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সম্পর্ক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সেটিকে‘উচ্চবাচ্য ও মিথ্যা’হিসেবে অভিহিত করেছেন।
খামেনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলো জোরালোভাবে পরমাণু সমঝোতার পক্ষে আওয়াজ তুলছে। তারা এ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। এমন ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য। তবে ট্রাম্পের প্রতি শুধু তাদের আহবান বা নিন্দাই যথেষ্ট নয়। চুক্তি বাতিলে হোয়াইট হাউস যে উদ্যোগ নিচ্ছে, ইউরোপকে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু সমঝোতা বাতিল করলে ইরানও একই পথে হাঁটবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দায়েশের (আইএস) মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্ম দিয়েছে। আর এ কারণে যারাই জঙ্গিদের মোকাবেলা করছে তাদের ওপরই ক্ষুব্ধ হচ্ছে ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, আমাদের সব উন্নতি ঘটেছে অবরোধের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্বেষী আচরণ সত্ত্বেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি। আমরা লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা আস্থা রাখুন, এবারও তারা চপেটাঘাত খাবে।
এ/এপি