ফিলিস্তিনের গাজায় অবশেষে ত্রাণসহায়তা যেতে দিতে রাজি হয়েছে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের পর ইসরাইল পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে মিসর থেকে গাজায় ত্রাণ যেতে বাধা না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ১৮ (অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এ ঘোষণা দেয়। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সদস্যরা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা করে। জবাবে ওই দিন গাজায় বোমা হামলার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। দুদিন পর ৯ অক্টোবর অবরোধের ঘোষণা দিয়ে গাজা খাবার, পানি, ওষুধ ও গ্যাস যাওয়া বন্ধ করে দেয় ইসরাইল।
ইসরায়েলি সেনাদের ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকা গাজায় খাবার, পানি, ওষুধসহ জরুরি পণ্যের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্বিসহ করুণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ত্রাণের পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক কয়েক দিন ধরে মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ে আটকে আছে। ওই সীমান্তেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা এত দিন গাজায় কোনো ধরনের পণ্য ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গাজার শোচনীয় পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ দিতে ইসরাইয়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছিল।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, মিসর থেকে পাঠানো মানবিক ত্রাণসহায়তা গাজায় পৌঁছাতে বাধা দেবে না ইসরায়েল। তবে তা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য খাবার, পানি ও ওষুধ হতে হবে।
ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল সীমান্ত থেকে গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা যেতে দেওয়া হবে না।