কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে, চলবে গণতন্ত্র নিয়ে গবেষণা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে আবারও অস্থিরতা। এরই মধ্যে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শুক্রবার (১০ মে) এক টেলিভিশন বক্তৃতায় এই ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত করেছেন তিনি।
শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। এ ছাড়া আমির কিছু সাংবিধানিক অনুচ্ছেদকে চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন। এই সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভা গ্রহণ করবে বলে উপসাগরীয় এই দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।
আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ বলেছেন, কুয়েত সম্প্রতি বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে, যার ফলে দেশ বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বা বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই।
কুয়েতের আইনসভা অন্যান্য উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশগুলোর আইনসভা বা অনুরূপ সংস্থাগুলোর তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দেশটিতে এর আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন