• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
logo

বাংলাদেশে ঢুকতে পারে আরও রোহিঙ্গা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২২ জুন ২০২৪, ১৮:৫৫
ছবি: বিবিসি

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত গত নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। তা থেকে বাঁচতে আরও অনেক রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা বিভিন্ন উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের

শুক্রবার (২১ জুন) বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনের শীর্ষ নির্বাহী এবং বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমানও বিষয়টি স্বীকার করে এক সাক্ষাৎকারে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘কয়েকজন রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং শিবিরের রোহিঙ্গাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমি নিশ্চিত, এ খবর সত্য।’

গত বছরের শেষের দিক থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে রাখাইনের নয়টি প্রধান শহর দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। আরও এলাকা দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বিদ্রোহীদের এমন সমন্বিত আক্রমণে জান্তা সরকার ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

গত মে মাসে আরাকান আর্মি জানিয়েছিল, তারা বুথিডাং শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বসবাস করেন।

অভিযোগ উঠেছে, আক্রমণের সময় মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নিশানা করেছিল আরাকান আর্মি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিদ্রোহীরা।

এছাড়া, গত রোববার বুথিডাংয়ের পশ্চিমে অবস্থিত মংডু শহরের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেছে আরাকান আর্মি। ওই এলাকায় জান্তা অবস্থান লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ চালানো হবে বলে জানিয়েছে তারা।

কিন্তু, শহর থেকে বের হওয়ার সব রাস্তা বন্ধ থাকায় মংডুর বাসিন্দাদের পালানোর পথ নেই বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং স্থানীয় একজন রোহিঙ্গা নেতা। শহরটিতে বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি সেনা ছাউনি এবং পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা ঘটায় রোহিঙ্গাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এই হামলার জবাবে রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

ভয়াবহ সেই অভিযানে সেনা সদস্যদের হাতে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে থাকেন রোহিঙ্গারা। সেবার ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে।

মন্তব্য করুন

  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধে ছাত্রলীগের সম্মাননা প্রদান
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’
বিশ্বকাপে ম্যাচ না পাওয়ায় হতাশ শরিফুল