কোরীয় উপদ্বীপে ফের বি-ওয়ান-বি সুপারসনিক বোমারু বিমান পাঠাল আমেরিকা। উপদ্বীপে চলমান উত্তেজনার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে বিমানগুলো পাঠানো হয়েছে। খবর বিবিসি, দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
দুই দেশের মধ্যে বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনা চলছে। পরমাণু হামলা ও পরীক্ষা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন।
গত সপ্তাহেই শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাদের দাবি, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।
পিয়ংইয়ংয়ের হুমকির মুখে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় যৌথ বিমান মহড়া শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা।
পাঁচ দিনব্যাপী ওই মহড়াকে উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে বিরল এক সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা। সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ফেল্টম্যান শুক্রবার পর্যন্ত পিয়ংইয়ং থাকবেন।
সফরে ফেল্টম্যান উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে, দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে না।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
সেইসঙ্গে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এরপরই যৌথ মহড়া শুরু করে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেছেন, মহড়া চলাকালে গুয়াম থেকে আসা বোমারু বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঘাত হানবে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, মহড়া চলাকালে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির জবাবে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা।
এপি/ওয়াই