সেনেগালের কৃষি-ইনফ্লুয়েন্সার
সেনেগালে অনেক তরুণ কৃষক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কৃষিখাতে বিপ্লব আনছেন। এর মাধ্যমে এই ‘কৃষি-ইনফ্লুয়েন্সারেরা’ চাষের কৌশল শেয়ার করেন এবং সরাসরি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ তারা টেকসই চাষ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে চান।
এই ইনফ্লুয়েন্সারদের একজন মামে আবদু দিওপ। তিনি জানান, শুরুতে শুধু আনন্দের জন্য ভিডিও বানিয়েছিলাম। তখন সামাজিক মাধ্যমের ক্ষমতা সম্পর্কে কিছু জানতাম না। অথচ এভাবেই আমি অনেক ক্রেতা পেয়েছি, বিশেষ করে ইউরোপ থেকে, যারা অনেক দূরে থেকেও দেখতে পান আমি কী করছি। সামাজিক মাধ্যমের কারণে তিনি অন্যের মধ্যস্থতা ছাড়াই সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ফলে খরচ কম হয়, ব্যক্তিগত যোগাযোগের কারণে বিক্রিও বাড়ে।
মামে বলেন, আমি নিজেই আমার ভিডিও বানাতে পছন্দ করি, ফলে আমাকে এরজন্য খরচ করতে হয় না। আপনি যদি নিজেই আপনার মার্কেটিং করেন, তাহলে আপনার মনে যা আছে তা বের করতে পারেন, আপনি কীসের জন্য কাজ করছেন তা জানাতে পারেন। এটা আমার কাছে বেশি ন্যাচারাল মনে হয়। মানুষ এগুলো দেখতেও বেশি পছন্দ করে। ভিডিওর মান ভালো না হলেও, ছবি ও শব্দ না থাকলেও মানুষ ন্যাচারাল জিনিস দেখতে পছন্দ করে। সম্পাদনা বা কিছু করা ছাড়াই আপনি যা করেছেন, সেটাই দেখান।
ইনফ্লুয়েন্সারদের অনেকে এখন পরামর্শকও হয়ে উঠেছেন। নোগায়ে সেনে তাদের একজন। ফসল চাষ ও তোলা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে অনলাইনে ভিডিও ও সেলফি শেয়ার করেন তিনি। কৃষি প্রকল্প নিয়েও পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, এবেনো অ্যাগ্রোবিজনেস প্রতিষ্ঠার পর আমি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার শুরু করি। এর মাধ্যমে অনেক ক্রেতা পাওয়া যায়, নিজের কাজ দেখানো যায়। যে ক্রেতাদের সঙ্গে আমি কাজ করি তারাও সামাজিক মাধ্যমে আছেন। তারা ইনস্টাগ্রামে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, আমি তাদের যোগাযোগের নম্বর দেই। এরপর তাদের ক্ষেত পরিদর্শন করে তাদের কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দিই।
বর্তমানে সেনেগালের জিডিপির একটি ছোট অংশ জুড়ে আছে কৃষিখাত। তবে নতুন সরকার আমদানি কমাতে চায়, অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায়। সেজন্য প্রযুক্তিবান্ধব এসব কৃষকদের সহায়তা করছে সরকার।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন