পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি, তৃণমূলের বাজিমাত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচনে ৬টি আসনেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বাজিমাত করেছেন। ৬টি আসনেই জয়লাভ করেছে দলটির প্রার্থীরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর এ চিত্র দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরজি কর কাণ্ডের পর মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন হয়েছিল। তবে ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, এসবের কোনো প্রভাবই নির্বাচনে পড়েনি। কোনো সুবিধাই করতে পারেনি বিজেপি। এমনকি রাজ্যের একটিমাত্র আসন ছিল। সেই আসনটিও খোয়া গেছে বিজেপির।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি মাদারিহাটের আসনটি ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেছে, বাস্তবেই বিজেপি ধরে রাখতে আসনটি।
এদিকে, একমাত্র হাড়োয়া আসনে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। এই একটি আসনেই জামানত রক্ষা করতে পেরেছে বাম জোট। বাকি পাঁচ আসনেই জামানত হারিয়েছেন বামপন্থি প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, পৃথকভাবে লড়াই করেও ছয়টি আসনেই জামানত হারিয়েছে কংগ্রেস। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো আলিপুরদুয়ারের এই বিধানসভা আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল।
গত ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এই আসনগুলির মধ্যে ৫টিতে আগে তৃণমূলই জয়ী হয়েছিল। একটি আসন ছিল বিজেপির ঝুলিতে। এবার তৃণমূলের কাছে সেটিও হারালো দেশটির কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।
ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের এ ৬ আসনের মধ্যে মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেস ২৮ হাজার ১৬৮ ভোটে জিতেছে। তাদের ভোট পাওয়ার হার ৫৪.০৫ শতাংশ।
কোচবিহারের সিতাই আসনে তৃণমূল ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৩৬ ভোটে জিতেছে। এখানে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট হলো ৭৬.০৮ শতাংশ। মেদিনীপুরে তৃণমূল জয় পেয়েছে ৩৩ হাজার ৯৩৬ ভোটের ব্যবধানে। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৫৩.৪৪ শতাংশ।
হাড়োয়া আসনে তৃণমূল কংগ্রেস ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয় পেয়েছে। সবমিলিয়ে তৃণমূল ৭৬.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এছাড়া তালড্যাংরায় তৃণমূল জয় পেয়েছে ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে। শতাংশের হিসাবে তৃণমূল পেয়েছে ৫২.০৭ শতাংশ ভোট।
এর বাইরে নৈহাটিতে তৃণমূল জয় পেয়েছে ৪৯ হাজার ২৭৭ ভোটে। এই আসনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট হলো ৬২.৯৭ শতাংশ।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন