সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে কোথায় গেলেন আসাদ, অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা
তালেবান সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তার নিয়োগকৃত প্রধানমন্ত্রীও ইতোমধ্যে হাত মিলিয়েছেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে। আসাদের দুই যুগের শাসনের অবসানে সিরিয়া জুড়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছে বিরোধীরা।
এদিকে দেশ ছেড়ে প্রেসিডেন্ট আসাদ কোথায় গেছেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সার্বক্ষণিক নজর রাখছে সিরিয়ায়, আসাদের অবস্থান সনাক্তের জন্যও চলছে জোর চেষ্টা। ধারণা করা হচ্ছে, দেশ ছাড়ার পর ইরান কিংবা রাশিয়ায় যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই তার হাতে। আবার, কিছু সূত্র মনে করছে আসাদ এখনও সিরিয়া ছাড়েননি। দেশের সীমান্তবর্তী কোথাও আত্মগোপন করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছেন তিনি।
এমন ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে ওয়ালা নিউজ সাইটের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বাশার আল আসাদ হয়তো রাশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিরীয় প্রেসিডেন্ট রাতেই দামেস্ক থেকে বিমানে করে রাশিয়ার খেমাইমিম বিমান ঘাঁটিতে চলে যান। সেখান থেকে তার মস্কো যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরেক মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানান, বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়েছেন কি-না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এদিকে আসাদের মসনদ উল্টে যাওয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে খোঁচা দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, আসাদ পালিয়েছে। তার ত্রাণকর্তা পুতিন আর তাকে বাঁচাতে আগ্রহ দেখালেন না। আসলে আসাদকে রক্ষা করতে রাশিয়ার সামনে আসার কোনও কারণও নেই। এমনিতেই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ৬ লাখ রাশিয়ান যোদ্ধা হতাহত হয়েছে, যে কারণে সিরিয়ার প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়েছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেন, রাশিয়া ও ইরান বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছে। প্রথমটির দূর্বল হয়ে পড়ার কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাজে অর্থনীতি। আর দ্বিতীয় দেশটির দূর্বল হয়ে পড়ার কারণ ইসরায়েল ও যুদ্ধক্ষেত্রে ইসরায়েলি বাহিনীর সফলতা।
এরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প লিখেন, আশা করি, জেলেনস্কি ও তার ইউক্রেন পাগলামি বন্ধ করবে। জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার এখনই সময়। অপ্রয়োজনে বহু জীবন ঝরে গেছেম বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। ভ্লাদিমির পুতিনকে ভালোভাবে চিনি। এখন তার সাড়া দেওয়ার সময়। এ ব্যাপারে চীন সাহায্য করতে পারে। বিশ্ব অপেক্ষা করছে।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন