• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

শেষ পর্যন্ত অভিশংসনেই বিদায় দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৬
শেষ পর্যন্ত অভিশংসনেই বিদায় দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
ফাইল ছবি

বহু জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে অভিশংসনেই বিদায়ঘণ্টা বাজল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হয়েছেন তিনি। এদিন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন তার বিপক্ষে। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অভিসংশনের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে। এতে ৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন সদস্য অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৮৫ জন আইনপ্রণেতা বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া তিনজন ভোটদানে বিরত থেকেছেন এবং চারটি ভোট বাতিল হয়েছে।

অনাস্থা ভোটে হারার পর ইউন সুক ইওলকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে দ্রুতই বরখাস্ত করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিশংসিত হওয়ায় ইওল কর্তৃত্ব হারাবেন, কিন্তু সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। আদালত ইওলকে অপসারণ করলে বা তিনি পদত্যাগ করলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হতে হবে।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের জন্য প্রথম ভোটাভুটি হয়। তবে ইউনের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওইদিন জানান, মোট ১৯৫ ভোট পড়েছে। ভোট দেয়া সদস্যের সংখ্যা মোট সদস্যের প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দেশে আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তবে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির এ নেতা।

আরটিভি/এসএইচএম

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা, স্বাগত জানালেন ড. ইউনূস
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কে এই হান ডাক-সু
অভিশংসনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
ঢাকায় আসছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট