ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনো বদল ঘটানো যাবে না। পাশাপাশি, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে মামলা এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মাসের ৫ তারিখ।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে, তা তারা মানবে।
বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতে প্রথমে প্রশ্ন করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, সরকারের কাছে প্রচুর তথ্য জমা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু জমি ওয়াকফ জমি হিসাবে নথিভুক্ত রয়েছে। নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের মনে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় চায় কেন্দ্র। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নতুন ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, এই আইনে কিছু ভাল দিক অবশ্যই রয়েছে। এই পুরোপুরি স্থগিত করে দেওয়ার কথা কখনওই বলা হয়নি। কিন্তু আমরা চাই না, এখন যা পরিস্থিতি, তা বদলে যাক। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন। পরিস্থিতি যাতে না বদলায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মামলাকারীদেরও উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পাঁচটি পিটিশন বাছাই করা হোক। ওই পাঁচটি পিটিশনকে প্রধান পিটিশন হিসাবে গণ্য করে শুনানি হবে।
ওয়াকফ মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ মে। ওই দিনে প্রয়োজনে কোনও নির্দেশ দেওয়া হলেও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরটিভি/এমএ-টি