ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে ২০২৪ সালে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের বিষয়ে রেকর্ডসংখ্যক বার্তা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ পণ্যই প্রসাধনী সামগ্রী।
২০২৪ সালে ইউরোপিয়ান কমিশন ক্ষতিকর পণ্যের বিষয়ে মোট চার হাজার ১৩৭টি সতর্কতামূলক বার্তা পেয়েছে। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
‘সেফটি গেট’ নামের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে এই সতর্কতা পাঠানো হয়েছে। সেফটি গেট হলো ইইউর একটি নজরদারি প্রক্রিয়া, যেখানে খাদ্য সামগ্রী নয় এমন ক্ষতিকর পণ্যের বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রক্রিয়াটি চালু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালেই সবচেয়ে বেশি সতর্কবার্তা পেয়েছে সেফটি গেট।
স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের তালিকার শীর্ষে রয়েছে প্রসাধনী সামগ্রী। সতর্কবার্তায় প্রসাধনীসামগ্রীতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে। এই রাসায়নিকটি ২০২২ সাল থেকে ইউরোপে নিষিদ্ধ। এই রাসায়নিক প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে এবং চামড়ায় অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি করে।
সেফটি গেট-এর বার্তায় যে রাসায়নিক নিয়ে বার বার সতর্ক করা হয়েছে, তা হলো জুয়েলারিতে থাকা লেড অথবা নিকেল, বডি অয়েলে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল সুগন্ধি এবং কাপড়ে থাকা প্লাস্টিক নরম করার উপাদান।
কসমেটিক্সে থাকা কেমিকেল নিয়ে মোট ৩৬ ভাগ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে সেফটি গেট। ১৫ ভাগ সতর্কবার্তা ছিল খেলনার বিষয়ে।
ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশ অবশ্য ২০২৪ সালে বাজার থেকে কিছু প্রসাধনী সামগ্রী প্রত্যাহার করেছিল। তালিকায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কোনো বার্তা ছিল না। খাদ্য সামগ্রীতে ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান নির্ণয়ের বিষয়ে ভিন্ন আরেকটি নজরদারি ব্যবস্থ্যা রয়েছে ইইউর।
কী করা যেতে পারে?
প্রসাধনী সামগ্রী ছাড়া অন্য যে দ্রব্যগুলোকে ঝুকিপূর্ণ বলা হয়েছে, তার বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি করা। ভোক্তাদের অধিকারের বিষয়ে দায়িত্বরত ইইউ কমিশনার মিশায়েল ম্যাকগ্রাথ বলেন, এর কারণ হলো বাজারে শেইন এবং টেমুর মতো চীনের অনলাইন খুচরা বিক্রেতার ব্যাপক উপস্থিতি, যারা কম দামে কাপড় এবং প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করে থাকে।
তিনি বলেন, সমস্যাটির মূলে গিয়ে তার সমাধান করতে চায় কমিশন। সেই সাথে কর্তৃপক্ষ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং চীনের উৎপাদকদের সাথে আলোচনার করার উপরও জোর দেন তিনি।
আরটিভি/আরএ