সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দেশটির ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তার দাভোসে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফার্স্ট লেডির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘সময়সূচি আর যৌক্তিক কারণে’ ওয়াশিংটন ডিসিতেই থাকতে হচ্ছে মেলানিয়াকে। খবর রটেছে টানাপোড়েন চলছে ট্রাম্প সংসারে! আর দাভোসে মেলানিয়ার অনুপস্থিতি যেন ওই গুজবে সত্যতার প্রমাণ। খবর স্ট্রিট জার্নাল, ডেইলি মেইল।
ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংসারে চলছে টানাপোড়ন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ফেশিশুর ফুসফুস থেকে বের হল এলইডি বাল্ব!
--------------------------------------------------------
১২ জানুয়ারি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, এক দশক আগে এক পর্নো তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ওই পর্নো তারকা যাতে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলেন, সেই লক্ষ্যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাসখানেক আগে এক আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে পর্নো তারকা স্টেফানির সঙ্গে ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এর এক বছর আগে মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প।
সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প আর মেলানিয়া ট্রাম্পের ছিল ১৩তম বিবাহবার্ষিকী। আগের বছরগুলোয় এ দিনটা বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন করলেও এবার যেন এই দম্পতি কোনোরকমে পার করে দিলেন দিনটা। টুইটারে আসক্ত ট্রাম্পের কাছ থেকে দিনটা উপলক্ষে কোনো টুইটই না এলেও এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই ডেমোক্র্যাটরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
মেলানিয়ার দূরে থাকার আরও প্রমাণ মেলে স্বামীর সঙ্গে ফ্লোরিডায় গিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার অনুপস্থিতি। পর্নো তারকাকে অর্থ দেয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পরই এই দম্পতি ফ্লোরিডায় যান। আর এরপর এল দাভোস সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন:
এপি/জেএইচ