ঢাকাসোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে অবস্থান স্পষ্ট করল কাতার

আরটিভি নিউজ 

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ , ০৭:৪৩ পিএম


loading/img
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। ছবি : সংগৃহীত

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের হামলার ‘নিন্দা’ জানিয়েছে কাতার। একে ‘অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যা ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। খবর আল জাজিরার। 

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে আল-আনসারি বলেন, ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ইরান যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘ইতিবাচক কূটনৈতিক অগ্রগতি’ অর্জন করছিল, তখনই এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, এই আলোচনায় অঞ্চলটির আরও কয়েকটি দেশও সম্পৃক্ত ছিল।

বিজ্ঞাপন

Web-Image.jpgrt

                                কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি।

তিনি বলেন, কাতার এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যস্থতায় সক্রিয় রয়েছে এবং ‘একটি চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা রয়েছে’ বলে বিশ্বাস করে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতির চেয়ে ভালো’ কিছু চান। তিনি এ সংঘাতের ‘একটি সত্যিকার সমাপ্তি’ চান।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, একটি সত্যিকার সমাপ্তি। যুদ্ধবিরতি নয়। একটি সমাপ্তি চাই।

ট্রাম্প এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে।

এরপর সামাজিকমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে একটি পোস্ট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পোস্টে তিনি লিখেছেন যে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য তিনি এখনও ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ইরানের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, তারা যদি কথা বলতে চায়, তারা জানে কীভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাদের আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তি গ্রহণ করা উচিত যা অনেক প্রাণ রক্ষা করবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

আরটিভি/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |