ঢাকাশুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

একটি কারণে আমেরিকা যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিল: খামেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ 

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ , ০৫:২০ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রথমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, একটি কারণে ইসরায়েলের পক্ষে আমেরিকা যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিল। সেটি হলো তারা (আমেরিকা) মনে করেছিল, যদি তারা হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।

আলী খামেনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আঘাতে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল এবং চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ইরানের শত্রুরা ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক কর্মসূচির মতো অজুহাত ব্যবহার করে। কিন্তু তারা আসলে আমাদের আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বক্তব্যে বলেছিলেন ‘ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।’ কিন্তু আমরা কখনও আত্মসমর্পণ করব না, আমাদের জাতি শক্তিশালী।

ইরানের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা বলেন, মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো একটি দুর্দান্ত কাজ এবং ভবিষ্যতের হুমকিতে এটি পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

ইরানে মার্কিন হামলা ট্রাম্পের ‘দেখোবাজি’ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত করেছিল, কিন্তু খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

বিজ্ঞাপন

হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৬০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। 

তবে, ট্রাম্পের এমন দাবি নাকচ করে দেয় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। পরদিন বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২ টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইরানি-ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধবিরতি সম্মতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আরটিভি/আরএ-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |