চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শুক্রবার বেলা ১২টা ৩ মিনিটে বিমানের সিঁড়ি থেকে নেমে লাল গালিচায় পা রাখেন চীন প্রেসিডেন্ট। বিমান থেকে নামার পরই ফুল দিয়ে তাকে বরণ করা হয়। বেলা ১২টা ৫ মিনিটে শি জিনপিংকে দেয়া হয় গার্ড অব অনার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
এর আগে তাকে বহন করা ‘এয়ার চায়না’র বিশেষ ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রাসহ শি জিনপিংকে তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল লা মেরিডিয়ানে পৌঁছে দেয়া হয়। বিকেল পৌনে ৩টায় হোটেল থেকে চীন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে যাবেন। ৩টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শিমুল হলে শি জিনপিং ও শেখ হাসিনা একান্ত সাক্ষাৎ করবেন। এরপর চামেলি হলে তারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
বিকেল ৪টায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক সই এবং কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন চীন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি ও শেখ হাসিনা যৌথ বিবৃতি দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভিজিটর বইয়ে স্বাক্ষর শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ফের লা মেরিডিয়ানে যাবেন। এরপর তার সঙ্গে বাংলদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন সৌজন্য দেখা করবেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে লা মেরিডিয়ান থেকে বেরিয়ে সাড়ে ৬টার দিকে বঙ্গভবন কেবিনেট হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন চীন প্রেসিডেন্ট। ৭টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজে অংশ নেবেন জিনপিং। এরপর ফিরে যাবেন লা মেরিডিয়ানে।
শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে চীন প্রেসিডেন্ট সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তাকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং নবম ইনফেন্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার স্বাগত জানাবেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি গাছের চারা রোপন ও পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন শি জিনপিং। স্মৃতিসৌধ থেকে তিনি সরাসরি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন। সকাল ১০টায় ‘এয়ার চায়না’র বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন চীন পেসিডেন্ট।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে চীন প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার সম্মানে বিশেষ স্ট্যাটিক গার্ড প্রদান করা হবে। শি জিনপিং ঢাকা থেকে ভারতের গোয়ায় যাবেন।
কে/ এইচটি/ এস