সাধারণত অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ব্রিটেন সফরে গেলে অবশ্যই রাণী এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ব্রিটেনের রাণী বলে কথা! নির্দিষ্ট রাজকীয় নিয়ম বা প্রটোকল মেনে তবেই যেকোনও রাষ্ট্রপ্রধান রাণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু সেই রাষ্ট্রপ্রধান যদি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে কোনও নিময় বা প্রটোকলই যে গ্রাহ্য হবে না তা সর্বজনবিদিত। সব নিয়ম ভেঙে, বিতর্কের মধ্যে থাকাই যার একমাত্র লক্ষ্য, এবারেও তার অন্যথা হতে দিলেন না ট্রাম্প।
তিনদিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। শুক্রবার উইন্ডসোর ক্যাসেলে রাণী এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তারা। তবে সাক্ষাৎপর্বের শুরু থেকেই নিয়ম-বিরুদ্ধ কাজ করতে শুরু করেন একরোখা মেজাজের ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, প্রবল গরমের মধ্যে ৯২ বছরের রাণী এলিজাবেথকে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানানোর জন্য একটি ছাতার তলায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রিটেনের রাণী। প্রায় দশ মিনিট দেরিতে কালো রেঞ্জ রোভার গাড়ি চড়ে সেখানে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এখানেই শেষ নয়, উইন্ডসোর ক্যাসেলের বিশেষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরিচয় পর্বেও নিজের বিতর্কিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখেন ট্রাম্প। একসঙ্গে হাঁটার বদলে বেশিরভাগ সময়টাই তাকে দেখা গিয়েছে রাণী এলিজাবেথ ও মেলানিয়ার থেকে দুই কদম করে এগিয়ে থাকতে। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কার্যত তুলোধোনা করেছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম।
কেবল রাণীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে বিতর্ক সৃষ্টি করেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি করেন আরও ভয়ঙ্কর কাজ। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের বিখ্যাত আরামকেদারায় বসে ছবি তোলেন তিনি। যা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটেনের রাজনীতিবিদরা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর ঘিরে প্রথম থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ব্রিটেন। একাধিক স্থানে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। যা প্রতিহত করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই বিক্ষোভ আরও তীব্রতর হয়েছে প্রিন্সেস ডায়না ও তার পুত্রবধূ কেট সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা কিছু কুরুচিকর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই।
এ/এমকে
