চাকরিজীবীদের জন্য লাঞ্চ ব্রেক বা দুপুরের খাবার বিরতি প্রচলিত একটি বিষয়। বিশ্বের সব দেশে এটা চালু আছে। তবে পার্থক্য রয়েছে লাঞ্চ ব্রেকের স্থায়িত্বের মধ্যে। আমাদের দেশের লাঞ্চ ব্রেক সাধারণত এক ঘন্টার হয়ে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর এমন অনেক দেশ আছে যেখানে অনেক বেশি সময়ের লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া হয়। চলুন দেখে নিই সবচেয়ে বেশি সময়ের লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া দেশগুলোর তালিকা-
স্পেন
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সময়ের লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া হয় স্পেনে। দেশটি ৩ ঘন্টার লাঞ্চ ব্রেক দিয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান লাঞ্চ ব্রেক দেয় দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এরপর অফিস ছুটির আগে আরও ৩ ঘন্টা কাজ করে কর্মজীবীরা।
গ্রিস
গ্রিসেও লাঞ্চ ব্রেকের স্থায়িত্ব ৩ ঘন্টা। এটা তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য নয়। বরং তাদের খাবার খাওয়ার প্রচলিত সময়ই এটা। গ্রিকরা দুপুরের খাবারকেই দিনের প্রধান খাবার হিসেবে বিবেচনা করে। এ কারণে খাবার শেষে কাজে ফিরতে বেশি সময় লাগে তাদের। বেশিরভাগ কর্মজীবীই দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় ফিরে যায় এবং ৩ ঘন্টা পর আবার অফিসে আসে। গ্রিসে দুপুর ২টায় বিরতি শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৫টায়।
ফ্রান্স
ফ্রান্সে দুপুরের খাবার বিরতি দেওয়া হয় ২ ঘন্টা। তাদের এই বিরতি ২টায় শুরু হয়ে শেষ হয় ৪টায়। দেশটির এক গবেষণা বলছে, ফ্রান্সের ৪৩ শতাংশ নাগরিক দুপুরের খাবার খেতে ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ব্যয় করে।
চীন
চীনের কর্মজীবীরা ২ ঘন্টার লাঞ্চ ব্রেক পায়। দুপুর ১২টা থেকে তাদের লাঞ্চ ব্রেক শুরু হয় এবং শেষ হয় ২টায়। তারা খুব দ্রুততার সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুটা সময় ঘুমিয়েও নেয়। চীনের কারখানাগুলো শ্রমিকদের ৩০ মিনিট বা তার কিছুটা কম ঘুমানোর সুযোগ দেয়।
ব্রাজিল
ব্রাজিলেও দুপুরের খাবার বিরতি ২ ঘন্টার। দেশটির কর্মজীবীরা প্রায়ই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অফিসের বাইরে মিটিংয়ে যায়। এরপরই ২ ঘন্টার খাবার বিরতি নেয়।
আরও পড়ুন :
- বাহরাইনে ভবন ধ্বসে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ধেয়ে আসছে হ্যারিকেন মাইকেল
ডি/এমকে