ঢাকাশনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফ্রান্সে চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভ থেকে চার শতাধিক আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

শনিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ , ০৮:৫২ পিএম


loading/img
ছবি: এএফপি

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ থেকে চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার দেশটির রাজধানী প্যারিস থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। এদিন প্যারিসের ক্যাম্পস-এলিসিস অ্যাভিনিউতে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদেরকে ‘ম্যাক্রোঁ, পদত্যাগ কর’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।

দেশটির নরম্যান্ডির কেন বন্দর থেকে প্যারিসে আসা ডেনিস নামের এক বিক্ষোভকারী জানান, অন্যদের মতো তিনিও প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এই মালবাহী ট্রাকচালকের মতে বর্তমান ফরাসি সরকার শুধু ধনীদের স্বার্থ দেখছে।

বিজ্ঞাপন

৩০ বছর বয়সী এই বিক্ষোভকারী বলেন, আমি আমার সন্তানের কথা ভেবে এখানে এসেছি। আমি তাকে এমন একটা দেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি না, যেখানে গরিবেরা শোষিত হয়।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে গত ১৭ নভেম্বর সড়ক অবরোধের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু এখন তা ম্যাক্রোঁর নীতি ও বৈষম্যমূলক শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। শনিবার বিক্ষোভকারীরা অসংখ্য মোটরওয়েসহ সারাদেশে অবস্থান নেয়, যার প্রভাব পড়ে দেশটির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায়।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ বলেছেন, ক্যাম্পস-এলিসিস, বাস্তিল সৌধ এবং বিভিন্ন ট্রেন স্টেশনে অবস্থানকালে ৪৮১ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থাটি জানায়, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকডজন মানুষকে আটক করা হয়েছে মাস্ক, হাতুড়ি, স্লিংশট ও পাথর বহনের জন্য, যা তারা লক্ষ্য করে ছুড়তো। দেশটির দোকান, জাদুঘর, আইফেল টাওয়ার এবং অনেক মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফুটবল ম্যাচ ও কনসার্টও বাতিল করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ চলতি সপ্তাহে অবশ্য দেশটির নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সাহায্য করাসহ বিক্ষোভকারীদের কিছু দাবি মেনে নেয়ার কথা জানান। পাশাপাশি আগামী বছরে জ্বালানি কর বাড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেন। কিন্তু কিছু বিক্ষোভকারী আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে।

এদিকে আগামী সপ্তাহে দেশটির শিক্ষার্থী ও কৃষকরাও বিক্ষোভ ডাকতে পারে। অন্যদিকে দেশটির জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার জরুরি ভিত্তিতে বেতন ও পেনসন বাড়ানো দাবিতে আগামী শুক্রবার রেল ও মেট্রো ধর্মঘট ডেকেছে। সবমিলিয়ে চলমান আন্দোলন গণবিদ্রোহের রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

কে/পি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |