মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার চিফ অব স্টাফ জন কেলি চলতি বছরের শেষ নাগাদ তার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন। আগামী ‘দুই-একদিনের’ মধ্যে কেলির স্থলাভিষিক্তের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। খবর পার্সটুডে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
ফিলাডেলফিয়ায় আর্মি-নেভি ফুটবল ম্যাচ দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জন কেলি চলে যাচ্ছেন-এটিকে ‘অবসর’ বলতে পারবো কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু সে একজন দারুণ ব্যক্তি। এ বছরের শেষ নাগাদ জন কেলি তার পদ ছাড়বেন।
ট্রাম্প জন কেলিকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে গত কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের চিফ অব স্টাফ বা দপ্তর প্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে জন কেলি বাধ্য হয়ে একথা অস্বীকার করেছিলেন যে, তিনি বহুবার ট্রাম্পকে ‘গাধা’ বলে সম্বোধন করেছেন। মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তার একটি বইয়ে কেলি সম্পর্কে ওই দাবি তুলে ধরেছিলেন।
গত মাসে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছিল, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দপ্তর প্রধান নিক আয়ার্সকে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব দেয়া হবে।
জন কেলির পদত্যাগের অর্থ দাঁড়াবে এই যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই বছরেরও কম সময়ে দায়িত্ব পালনের সময় ট্রাম্প তিনজন দপ্তর প্রধান ও তিনজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ব্যবহার করলেন।
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জন কেলিকে গত বছরের জুলাই মাসে নিজের দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে সময় কেলির পূর্বসুরি রেইন্স প্রিবাসকে মাত্র ছয় মাসের মাথায় সরিয়ে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জন কেলিকে নিয়োগ দিয়ে তাকে ‘একজন মহান আমেরিকান’ বলে সম্মোধন করেছিলেন ট্রাম্প। প্রিবাসকে হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরীণ খবর ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন :
এ