ফ্রান্সে চলমান বিক্ষোভ থেকে মোট এক হাজার ৭২৩ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে এক হাজার ২২০ জনকে শনিবার পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার ও ল্যুভর মিউজিয়ামসহ বিভিন্ন পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্র এবং ক্যাম্পস-এলিসিস অ্যাভিনিউ সংলগ্ন দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের মতো আবার দাঙ্গা হতে পারে- এই আশঙ্কায় ৮৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ফ্রান্সের রাস্তায়। এর মধ্যে রাজধানীতেই মোতায়েন করা হয়েছে আট হাজার পুলিশ।
আরও বলা হয়, ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর হস্তে বিক্ষোভকারীদের দমন করলেও মার্সেইলি, বোর্দিয়ক্স, লিও, তাউলাউসসহ বেশ কয়েকটি শহরে উভয়পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতা হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ছোঁড়ে আর বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ও ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভে এক লাখ ৩৬ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে প্যারিসে অবস্থান করে ১০ হাজার মানুষ।
প্যারিসের ডেপুটি মেয়র ইমানুয়েল গ্রেগোইরে ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এদিন বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা বেশকিছু ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। অনেক জায়গায় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।
এদিনের ঘটনায় নীরবতা ভেঙে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ টুইট বার্তায় দেশটির পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। কিন্তু তিনি জনগণের ক্ষোভের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি। তবে সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহে বড় ধরনের বেশকিছু ঘোষণা দেবেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে গত ১৭ নভেম্বর সড়ক অবরোধের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত চারজন নিহত এবং ১৩৫ জন আহত হয়েছে। রাজধানীতে আহত হয়েছে ৭১ জন, যাদের মধ্যে সাতজন পুলিশও আছে। এছাড়া দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কে/পি