নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলায় নিহত ৬০
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রান শহরে নতুন করে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৬০ জনকে নিহত করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারাম।
সোমবার এই হামলা চালানো হয় বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’র নাইজেরিয়া পরিচালক ওসাই ওজিগহো বলেন, রক্তাক্ত সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া এসব বেসামরিক নাগরিকের ওপর এই হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। তাই হামলাকারীদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
ওসাই ওজিগহো জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদেরকে জানিয়েছে যে দেশটির সৈন্যরা এই হামলার আগের দিন বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ব্যর্থ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি পদত্যাগ করেন।
বোকো হারামের দশকব্যাপী সংঘর্ষের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ধরনের হামলাগুলোর একটি। নাইজেরিয়ার সৈন্যদেরকে তাড়িয়ে শহরটিতে দুই সপ্তাহ আগেও একবার হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এটাকে তারা তাদের পুনরুত্থান বলে দাবি করে। তারা সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে সক্ষম বলেও জানায়।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে জানায়, ১৪ জানুয়ারি বোকো হারামের প্রথম হামলার পর নাইজেরিয়ার এবং ক্যামেরুনের একটি ‘মাল্টি-ন্যাশনাল জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স’র সৈন্যরা আবার রানে ফিরে আসে।
সূত্রটি আরও জানায়, ক্যামেরুনের সৈন্যরা সীমান্ত থেকে সরে যাওয়ার পর নাইজেরিয়ার সৈন্যরাও সেখান থেকে চলে যায়। কারণ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ সৈন্য, অস্ত্র বা সরঞ্জাম নেই।
বোকো হারাম কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা, ঘাঁটিতে আক্রমণ, সৈন্যদের হত্যা এবং অস্ত্র চুরির মাত্রা বাড়িয়েছে।
গত ১০ বছরে সহিংসতায় নাইজেরিয়ার শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২৭ হাজারেরও বেশি নিহত এবং ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কে/পি
মন্তব্য করুন